নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প পাস হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার শেরে-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভা হয়।
সিলেটের এই বৃহৎ প্রকল্পটি পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
মেয়র আরিফ বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এতো বড় প্রকল্প এর আগে অনুমোদন পায়নি। একনেকে এই প্রকল্প পাসের জন্য সিলেট নগরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আরিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে সবসময়ই সচেষ্ট। সিলেট নগরীর উন্নয়নে আমরা যে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম, তা কোনো কাটছাট না করেই পাস করেছেন তিনি।’
এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে জানান মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফ বলেন, ‘আমরা সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। সিসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তাসহ সবাই ঘোষণা দিয়েছেন, প্রকল্প পাস করে আমাদেরকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, আমরাও এর মর্যাদা রাখবো। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সমন্বিত প্রচেষ্টায় নগরীকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা। নগরীর স্বার্থ দেখা শুধু মেয়রের কাজ নয়, এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কাজ শুরুর সাথে সাথে হলুদ সাইনবোর্ডে প্রকল্পের সব তথ্য, ঠিকাদারের তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র। এছাড়া প্রকল্পটি ৪ বছর মেয়াদে শেষ করতে হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট নগরীর অন্যান্য এলাকায় যেভাবে অগ্রসর হয়েছে, দক্ষিণ সুরমার তিনটি ওয়ার্ড সেভাবে হয়নি। যেসব ওয়ার্ডে কাজ কম হয়েছে, সেসব ওয়ার্ডে ছড়া-খাল উদ্ধার, ড্রেন নির্মাণ, রাস্তার কাজ হবে। দক্ষিণ সুরমার তিনটি ওয়ার্ডের দিকে আমাদের নজর থাকবে। আমরা একই সমানতালে সিলেট নগরীর সব ওয়ার্ডকে এগিয়ে নিতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্যানেল মেয়র রোকসানা বেগম শাহনাজ, কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সম্রাট কর, আব্দুল মুহিত জাবেদ, তারেক উদ্দিন তাজ, মহিলা কাউন্সিলর শাহানারা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।